কাঠপোকা..!

কাঠপোকা..!
-রীণা চ্যাটার্জী

সুধী,
এতদিন শুনে এলাম- “পেট বড়ো বালাই” তার সাথে জুড়ে গেলো- ভোট বড়ো বালাই।
অতিমারীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেভাবে ক্ষমতা দখলের লড়াই চলছে- একে অন্তত সংগ্ৰাম, বিদ্রোহ কোনো আখ্যাই দেওয়া যায় না। এর একটাই পরিভাষা ক্ষমতা দখলের নিল্লর্জ প্রর্দশনী। অহঙ্কার আর স্বার্থপরতা সর্বভুক হয়ে আগুন জ্বালিয়ে চলেছে। জানি না- এ কোন গণতন্ত্রের পুজো, এরা কেমন গণতন্ত্রের পূজারী।
শুধু রঙ বদলের বেলাগাম খেলা- জনগণের কথা ভাবার সময় কোথায়! জনগণ তো এই গণতন্ত্রের খেলায় প্রয়োজনীয় আসবাব আর সংখ্যার সমীকরণ।

পুরোনো বাড়িতে ঘরের কোণে বা চিলেকোঠার একপাশে ঠাঁই পাওয়া কিছু পুরোনো আসবাব থাকে- বিভিন্ন প্রজাতির কাঠপোকা বাসা বাঁধে ওদের মধ্যে সবার অলক্ষ্যে। যার যেমন জাত- তার তেমন মোচড়। টের পাওয়া যায়, কড়কড় শব্দের আওয়াজে বা হুড়মুড় করে খসে পড়ার শব্দে। অবহেলার ফাঁকে লুকোনো অহঙ্কারের গোড়ায় ওদের বাস। কালের নিয়মে ওরা সেই অহঙ্কারে আঘাত হানে।

মিথ্যে অহং-এর বাস মনের মধ্যেও বাসা বাঁধে, আত্মতুষ্টির ছদ্মবেশে ক্ষমতার দম্ভে।
মনের কাঠপোকাটা সাবধানী আওয়াজ দেয় বিবেকে, আওয়াজ দেয় অহঙ্কারের আসবাবে। কিন্তু ক্ষমতার দামামায় শোনার ইচ্ছে, সময় থাকে না। বিবেকটা তো কবেই মরে গেছে, তাই তো অহং-এর এতো দাপাদাপি।
পোকাটা বাসা বাঁধে শিকড়ে- ছড়িয়ে যায়।
তারপর দর্পচূর্ণ হবার পালা। মিথ্যা অহং-এর কড়কড়ানি থেমে যাবার পালা।

তবুও আশার আলো জাগিয়ে রাখে নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখা নরম কিছু চোখ- মন বলে, ওরা পারবে, ওরা ঠিক পারবে। তাও যেন ভয়- স্বার্থপরতার দাবা খেলায় ওরা যেন বোরের এক পা- না হয়ে থাকে। ওরা যেন ওদের নরম চোখের সতেজ স্বপ্নগুলো সফল করে তুলতে পারে।
সফলতার জয়গান ওদের পাথেয় হোক।
সত্যিকারের গণতন্ত্রের পুজোয় সামিল হবো আবার সবাই। এখন অপেক্ষা.. অপেক্ষা..

আগামীর শুভেচ্ছা ও শুভকামনা সকলের জন্য আলাপী মন-এর পক্ষ থেকে।

Loading

Leave A Comment